আলুর টলি নেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে নিহত-১
![আলুর টলি নেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে নিহত-১](https://deeptobarta.com/wp-content/uploads/2023/01/20230108_051705_0000-e1673133726607.png)
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় আলুর টলি নেয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক পক্ষের ককটেলের আঘাতে অপরপক্ষের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন এর নতুন আমঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে নিহত ব্যক্তির নাম মো. জালাল ব্যাপারি(৪৮)। সে নতুন আমঘাটা গ্রামের মৃত গনি ব্যাপারির ছেলে। জামাল পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, নতুন আমগাটা গ্রামের একই বংশের মানুষ নিহত জালাল ব্যাপারি ও সেন্টু ব্যাপারিরা। এরা পরস্পর আত্মীয়-স্বজন হলেও দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রতি বছরই এ মৌসুমে আলু উঠানোর পর সেগুলো ট্রলি গাড়ির মাধ্যমে জমি থেকে কোল্ডস্টোরেজে পৌছাঁনোর কাজ করত জালাল- সেন্টু লোকজন। এনিয়ে জালাল ও সেন্টুদের মধ্যে আবারো বিরোধ শুরু হয়। শনিবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। একপর্যায়ে সেন্টু পক্ষের লোকজন জালালের মাথায় ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলেই জালাল মাথার বিভিন্ন অংশ উড়ে যায়। এবং সেখানেই জালাল মারা যায়।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. মামুন ব্যাপারি বলেন,জালালের সাথে কেউ ছিল না।সেন্টু মেম্বার বাহিনীর খালেক শেখ, শিপন, স্বপন, দেলু, হারুন, আলমগীরা প্রথমে বেদম পেটায় জালালকে। জালালের মাথায় একাধিক ককটেল নিক্ষেপ করে মাথাটাই উড়িয়ে দেয়। আমরা জালালের হত্যা কারিদের বিচার চাই।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আবু বক্কর সিদ্দিক জানান,ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এর সাথে জড়িতরা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।