শ্রীনগরে আলুর জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৪২ AM, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

শ্রীনগরে নানা চ্যালেঞ্জ সত্বেও আলু জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। জমিতে আগাছা পরিস্কার, পানি দেয়া ও কীটনাশক স্প্রে করছেন তারা। এর আগে গত নভেম্বরে আলু চাষের ভরা মৌসুমে হঠাৎ অসময়ের বৃষ্টির পানিতে বীজ বপনকৃত কৃষকের জমি পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়। এতে ফসলী জমির পানি নিস্কাশনের জন্য বিড়ম্বনায় পড়েন। বাধ্য হয়েই এচাষে মৌসুমের মধ্যকালীন সময়ে এসে ক্ষতিগ্রস্তরা কৃষকরা জমিতে পুনরায় বীজ বপন শুরু করেন। আলুর ফলন ও দাম পাওয়া গেলে লোকসানের কিছুটা পোষিয়ে উঠা যাবে। এমনটাই মনে করছেন এই অঞ্চলের আলু চাষীরা। তাই দুশ্চিন্তা নিয়ে আলুর আশানুরূপ ফলনের আশায় আবাদি জমির প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বীরতারা, তন্তর, আটপাড়া ও কুকুটিয়ায় বেশী আলুর চাষ হচ্ছে। অধিকাংশ জমিতে ৪/৫ ইঞ্চি পরিমাণ আলুর চারা গাছ গজিয়েছে। এর মধ্যে আগাছা পরিস্কারের পাশাপাশি জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। আলু গাছ আরেকটু বাড়ান্ত হলে জমিতে পানি দেওয়া হবে। আর যে সব জমিতে গাছ বড় হয়েছে সেখানে পানি দেয়া হচ্ছে।

এ সময় বীরতারা এলাকার আবুল হোসেন নীলচাঁন, কুকুটিয়া এলাকার আলম মোল্লা, আমজাদ হোসেনসহ অনেকেই বলেন, অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় করে এ বছর জমি দুই বার বীজ বপন করতে হয়েছে। কারণ হিসেবে তারা জানান, মৌসুমের প্রথম দিকে টানা বৃষ্টির কারণে আলু জমি নষ্ট হয়। বিড়ম্বনা হলেও ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টায় জমিতে আলু চাষ করছেন। প্রতি কানি জমিতে (১৪০ শতাংশ) এচাষে প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ পড়েছে। আলুর ফলন ও ন্যার্য দাম পাওয়া গেলে লোকসানের কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এ বছর এচাষে সব খরচ বাদে জমিতেই কৃষকের উৎপাদিত প্রতিমণ আলুর দাম পড়বে প্রায় ৮০০ টাকা।

শ্রীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অতিরিক্ত খরচ করে জমিতে পুনরায় আলু বীজ বপন করেছেন। মৌসুমী আলু চাষের প্রথম দিকে টানা বৃষ্টিতে শ্রীনগরে প্রায় ৬০০ হেক্টর আলু জমি নষ্ট হয়। মুন্সীগঞ্জ জেলাব্যাপী এর ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর আলু জমি। শ্রীনগরে এ বছর প্রায় ২ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :