শ্রীনগরে প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা; পুলিশের প্রেস ব্রিফিং

Taijul Islam Uzzal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:১৩ PM, ০৪ জুন ২০২১

শ্রীনগরে আড়িয়ালবিল এলাকার একটি পুকুর থেকে ৪ সন্তানের জননী পারভিন বেগমের (৩৫) গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পারভিন বেগমকে তার স্বামী অহিদুল মুন্সী (৪০) ধারালো কাচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় শ্রীনগর থানায় মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন।

শ্রীনগর সার্কেল এএসপি মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, শ্রীনগর উপজেলার বানিয়াবাড়ি এলাকার বাঘাডাঙ্গা এলাকার ভ্যান চালক অহিদুল মুন্সী জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীদের ফাঁসাতে নিজের স্ত্রী পারভিন বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত বুধবার রাতে স্ত্রীকে সুকৌশলে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে আড়িয়ালবিল সংলগ্ন কামলার বিলে নিয়ে যায়। সেখানে রাত ২:৩৫ মিনিটে স্ত্রী পারভিন বেগমকে কাচি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। লাশ গুম করার লক্ষ্যে বিলের একটি পুকুরে কচুরি পানা দিয়ে ঢেকে রাখে। পরে হত্যাকারী অহিদুল মুন্সী বাড়িতে এসে নিজ গায়ের জামা কাপড় পালটিয়ে এলাকায় বলাবলি করে প্রতিবেশী রাজা মিয়ারা তাকে ও তার স্ত্রীকে তুলে বিলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সে কোনমতে পালিয়ে আসেন। পরে খবর পেয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পারভিন বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ মর্গে প্রেরন করে।

এএসপি আসাদুজ্জামান অরো বলেন, এঘটনায় পাভিন বেগমের ভাই বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলা নং-৫। আসামী অহিদুল মুন্সীকে গ্রেফতারের পর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতে অহিদুল মুন্সী স্ত্রী পারভিন বেগমকে হত্যার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামীর দেয়া তথ্যমতের ভিত্তিতে পুকুর থেকে ধারালো কাচি, লুকানো জামা কাপড়, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা, ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ওসি অপারেশন মো. আসগর আলী।

উল্লেখ্য, উপজেলার বাঘাডাঙ্গা এলাকার শাহ আলমের ছেলে ভ্যান চালক হত্যাকারী আহিদুল মুন্সী জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে ৪ সন্তানের জননী পারভীন বেগমকে পরিকল্পীতভাবে হত্যা করে। ঘটনার পরে হত্যাকারী অহিদুল মুন্সী প্রতিবেশী রাজা মিয়াদের ফাঁসাতে অভিনয় শুরু করে। এঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়। অহিদুল মুন্সী ও পারভিন বেগম দম্পতির সম্পা (১৬), মিম (৮), জান্নাত (৪) নামে ৩ কন্যা ও ইয়াসিন (১২) নামে ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের বড় মেয়ে সম্পার প্রায় ৯ দিন আগে বিয়ে হয়।

আপনার মতামত লিখুন :