র‍্যাবের অভিযানেও থেমে নেই বোমা ও আতশবাজির বাণিজ্য

আসাদউজ্জামান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৮:১৩ PM, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে র‌্যাবের পর্যায়ক্রমে অভিযানে ২জন বোমা ব্যবসায়ীকে জেল হাজতে পাঠানোর পরেও থেমে নেই বোমা ও আতশবাজির বাণিজ্য। গত ১৩ মার্চ উপজেলার বাঘিয়া বাজার থেকে আলমগীর হোসেন নামের এক বিস্ফোরক সামগ্রী বোমা, আতশবাজি ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব ১০।

এরপরে গেল ৩ এপ্রিল উপজেলার বালিগাঁও বাজার থেকে সুভাষ চন্দ্র দে নামে আরেক আতশবাজি ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সরঞ্জাম সহ গ্রেফতার করে র‌্যাব।এরপরেও থেকে নেই আতশবাজি ব্যবসা। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আতশবাজি ও বোমা বিস্ফোরণ হয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বালিগাঁও বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বিস্ফোরণ সরঞ্জাম বোমা, আতশবাজি সংরক্ষণ করে রাখাটা আমাদের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই এসব আতঙ্কিত অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করে বাজারের ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখা হোক।

শনিবার দুপুরে উপজেলার বালিগাঁও বাজারে গিয়ে দেখা গেছে আনন্দ স্টোর এবং আলম স্টোর নামে ২টি দোকানে বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের বোমা এবং আতশবাজি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এসে সেখান থেকে এসব বিস্ফোরণ সামগ্রী ক্রয় করে নিচ্ছেন।

আতশবাজি ব্যবসায়ী আনন্দ চন্দ্র দে বলেন, র্যাবের সদস্যরা এসেছিলেন। আমার বাবা সুভাষ চন্দ্রকে ধরে নিয়ে গেছে। দোকানে এবং গোডাউনে থাকা সকল বোমা ও আতশবাজি জব্দ করে নিয়েছে। এখন ছোট ছোট কিছু বোমা ও তাঁরা বাত্তি রয়েছে সেগুলো বিক্রি করছি।

আরেক ব্যবসায়ী মাইমুন বলেন, র‌্যাব এসে সকল ধরনের বোমা ও আতশবাজি নিয়ে গেছে। এখন যেগুলো আছে সেগুলো বিক্রি করা হলে আর বিক্রি করবোনা।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসেন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, কোন কোন দোকানে বিক্রি হচ্ছে আপনি তথ্য দেন আমি টঙ্গিবাড়ী ওসিকে বলে দিচ্ছি আইনগত ব্যবস্থা নিতে।

আপনার মতামত লিখুন :