খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁশখালীর ১০২ আশ্রয় কেন্দ্র, বিপদসীমা এড়াতে প্রস্তুত প্রশাসন
![খুলে দেওয়া হয়েছে বাঁশখালীর ১০২ আশ্রয় কেন্দ্র, বিপদসীমা এড়াতে প্রস্তুত প্রশাসন](https://deeptobarta.com/wp-content/uploads/2023/01/20230108_051705_0000-e1673133726607.png)
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র ঝুঁকি এড়াতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড়, অফিস। আহুত ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি এড়াতে বেশ কয়েকটি কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকায় গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর থেকে আজবধি মাইকিং করে সতর্কতা জারী করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় অফিসের রেডিও অপারেটর মিটু কুমার দাশ জানান, উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গন্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে নিযুক্ত ১হাজার ৬৫জন প্রশিক্ষিত সিপিপি’র সেচ্ছাসেবক যে কোন আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকা গুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে এবং সংকেত পতাকা ২টি উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০২টি আশ্রয় কেন্দ্রের সবকটি কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বাঁশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিস সকল শিক্ষাপ্রতিষ্টান আশ্রয়ের জন্য খুলে দিতে বলেছেন। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি নম্বর-২২ সূত্র, মংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম কে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪(চার)নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মংলা, পায়রা ও চট্টগ্রামের উপকূলের জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সিপিপির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার জানান, আহুত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র ঝুঁকি এড়াতে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।