শ্রীনগরে দেবরদের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০২:৩৮ AM, ০৬ অক্টোবর ২০২২

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঝুলদী গ্রামে তানিয়া আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে মারধর করা হয়েছে। শরীফ শেখ (৩০) ও রাজিব শেখ (৩২) নামে দুই দেবরের বিরুদ্ধে ভাবী তানিয়াকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তানিয়া ঝুলদী গ্রামের আব্দুল শেখের পুত্রবধূ ও মালয়েশিয়া প্রবাসী ফরিদ শেখের স্ত্রী। গত সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঝুলদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পর দিন দুই দেবর ও ননাসসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানায়, পরিবারের ছোট খাটো বিষয় নিয়ে গৃহবধূ তানিয়ার সাথে তার ননাসরা বাড়িতে ঝগড়াঝাটির সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় মোবাইল ফোনে ননাসরা তানিয়ার বিরুদ্ধে পরিবারের খুটিনাটি বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে শরীফ ও রাজিবের কান ভাড়ি করে। এ নিয়ে গত সোমবার গভীর রাতে মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসে দুই ভাই ভাবী তানিয়াকে বেদম মারধর করে। দুপুরের শ্রীনগর থানার এসআই মাসুদ মোল্লা অভিযুক্ত রাজিবকে নিয়ে যায়।

গৃহবধূ তানিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী ফরিদ শেখ এখন মালয়েশিয়া আছেন। তার বৃদ্ধ শশুর ও শাশুরির দেখভাল তিনিই করছেন। অথচ দুই বানু আক্তার (৪০) ও উজালা বেগম (৩৮) নামে দুই ননাস পারিবারিক ছোটখাটো বিষয়ে অবিবাহিত শরীফ ও রাজিবের কাছে মোবাইল ফোনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়। ওই রাতে রাজিব ও শরীফ রাতে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে বসতঘরে ঢুকে আমাকে বেধমভাবে মারধর করে। এক প্রর্যায়ে তারা আমাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে। আমার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে রক্ষা পাই। সংবাদ পেয়ে আমার আত্মীয়-স্বজনরা এসে আমাকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পরে শ্রীনগর থানার এসআই মাসুদ মোল্লা ঘটনাস্থলে এসে রাজিবকে নিয়ে গেলে স্থানীয় মেম্বার আরশাদ আমার সাথে কোন কথা না বলে তদবীর করে রাজিবকে ছাড়িয়ে আনেন। এর পর থেকে আসামীরা বিভিন্নভাবে আমাকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। তার স্বামী ফরিদ শেখ খুব শীঘ্রই দেশে আসবে জানান তিনি।

অভিযুক্ত শরীফ শেখের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য মেম্বার ভাড় নিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরশাদ হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ঘটনাটি তাদের পারিবারিক ব্যাপার তাই মামলা মোকাদ্দমা না করে মিমাংসার জন্য দারোগার সাথে কথা বলেছি।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শ্রীনগর থানার এসআই মাসুদ মোল্লার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযুক্ত রাজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিলাম। পরে স্থানীয় মেম্বার ঘটনাটি মিমাংসা করে দিবেন বলে আমাকে জানিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :