শ্রীনগরে ধর্ষণের শিকার কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:১৪ PM, ১৩ জুন ২০২২

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ফুলকুচি গ্রামের মো. সোলায়মান মোল্লা (৩৫) নামে এক যুবকের ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র পরিবারের ১৪ বছরের কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গেলো ঈদুল ফিতরের সপ্তাহ খানেক পর স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুব শাহ্’র উপস্থিতিতে ষ্ট্যাম্পে লম্পটের স্বাক্ষর নিয়ে শালিসগণরা মিমাংসার জন্য একটি চুক্তিপত্র করেন। চুক্তিপত্র করার পর থেকে ধর্ষক সোলায়মান মোল্লা এলাকা ছাড়ে। শর্ত অনুসারে কোন সমাধান না পেয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর দিনমজুর পিতা শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। চুক্তিপত্রের প্রায় দেড়মাস হলেও মানসিক প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী অনিশ্চয়তার মধ্যে দরিদ্র পিতার সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন বলে প্রতিবেশী আব্দুর রাজ্জাক, আজিজুলসহ অনেকেই অভিযোগ করছেন।

ফুলকুচির মোল্লা বাড়িতে এক দাদির সাথে ঘুমানোর সুবাদে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই সোলায়মান ওই কিশোরীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এতে সে গর্ভবর্তী হয়ে পড়ে। ঘটনার জানাজানি হলে স্থানীয় মেম্বার মাহাবুব শাহ্ নেতৃত্বে অভিযুক্ত সোলায়মানের চাচা ব্যবসায়ী আব্দুর রবসহ অন্যান্য শালিসগণদের উপস্থিতিতে মিমাংসার জন্য বৈঠকে বসা হয়। এ সময় কিশোরীর ভরনপুষণ ও গর্ভের বাচ্চার জন্য ষ্ট্যাম্পে শর্তসাপেক্ষে সোলামানের স্বাক্ষর রাখা হয়। স্থানীয়রা আরো জানান, সোলায়মানের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সোলায়মান ২ সন্তানের জনক।

কিশোরীর দিনমজুর পিতা বলেন, মেম্বার মাহাবুব শাহ্ শালিস মিমাংসা করেন। ২ লাখ টাকা ও ১ শতাংশ জমি লিখে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ চুক্তির পর থেকেই সোলায়মান পলাতক। উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

আব্দুর রবের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোলায়মানের মা আমাকে ডাকলে ঢাকা থেকে গ্রামে যাই। আমার উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে ষ্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র হয়েছে এটা সত্য। স্থানীয় মেম্বার আমাকে চুক্তিতে সাক্ষী হতে বলেছিল কিন্তু আমি সাক্ষর দেই নাই।

কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাহাবুব শাহ্’র কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাকে ডেকেছিল শর্ত অনুযায়ী ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে একটা চুক্তিপত্র হয়। তিনিও ধর্ষকের উপযুক্ত বিচারের দাবী করেন।

শ্রীনগর থানার এসআই ও অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা রিজভী আক্তার এ ব্যাপারে জানান, মেম্বার ও ছেলে পক্ষের সমঝোতায় একটি চুক্তিপত্র হয়। যা পরবর্তীতে পালন না করায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।

আপনার মতামত লিখুন :