হাজারবার খুঁড়েও বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দিরের কোন চিহ্ন পায়নি ভারতীয় বিশেষজ্ঞরাও
![হাজারবার খুঁড়েও বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দিরের কোন চিহ্ন পায়নি ভারতীয় বিশেষজ্ঞরাও](https://deeptobarta.com/wp-content/uploads/2023/01/20230108_051705_0000-e1673133726607.png)
ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যা শহরে অবস্থিত মুসলিম ঐতিহ্যয়ের নিদর্শন ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জমি হিন্দুদের মন্দিরের বরাদ্ধ দিয়ে রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মসজিদটির সাথে এক সময় রাম মন্দির ছিল; হিন্দুত্ববাদীদের এমন দাবীর প্রেক্ষিত এই রায় দেয়া হয়েছে।
কিন্তু বাবরি মসজিদের নিচে হাজারবার খুঁড়েও কোনো মন্দিরের কোন অস্তিত্ব খুঁজে মেলেনি। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার খোঁড়াখুঁড়ি চালানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রত্নতাত্ত্বিকই মন্দির পাননি।
এমনকি সর্বশেষ ভারতের প্রত্নতত্ব বিভাগ ‘দ্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া’র (এআইএ) প্রত্নতাত্ত্বিক খননেও কোনো মন্দির মেলেনি। এএসআই’র চূড়ান্ত রিপোর্টেও কোনো মন্দির থাকার কথা উল্লেখ করা হয়নি।
সংস্থাটির দুই প্রত্নতাত্ত্বিকের মতে, মসজিদের নিচে প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ ছিল। বাবরি মসজিদ ভূমি সংক্রান্ত মামলার রায়ে এএসআই’র রিপোর্টের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের সুপ্রিমকোর্টি।
শুক্রবার দ্য ওয়ারের এক রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম প্রকাশ করা হয়েছিল।
এখন থেকে প্রায় ২৬ বছর আগে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় বর্তমান ক্ষমতাসীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি, শিব সেনা ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সন্ত্রাসীরা।
মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১০ বছর পর ২০০২ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে অযোধ্যার বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের জমিতে খনন কাজ চালানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল।
২০০৩ সালের আগস্টে ৫৭৪ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট কোর্টে জমা দেয় এএসআই। রিপোর্টে সংস্থাটি দাবি করে, বিধ্বস্ত বাবরি মসজিদের নিচে মাটি খুঁড়ে তারা একটি ‘বিশালাকার কাঠামো’ খুঁজে পেয়েছে। তবে সেটা যে কোনো মন্দিরের, এর পক্ষে কোনো প্রমাণ তারা তাদের রিপোর্টে বলেননি।