শ্রীনগরে গরু পালনে আগ্রহ বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:৫৩ AM, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

শ্রীনগরে গরু লালন পালনে আগ্রহ বাড়ছে। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে গ্রামের প্রায় বাড়িতেই অল্প পুঁজিতে মিনি খামার গড়ে তোলা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হওয়ায় এসব গরু মোটা তাজা করণে পুষধদের পাশাপাশী নারীরাও বিশেষ অবদান রাখছেন। বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋৃনের মাধ্যমে সল্প আয়ের কৃষক পরিবারগুলো এসব মিনি খামারের দিকে ঝুকছেন। খামারগুলোতে দেশী বিদেশী জাতের যাড়ের পাশাপাশি দুধের গাভী রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রাণীসম্প্রদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, তালিকা অনুযায়ী খামারিদের সংখ্যা ৪ শতাধিক। গবাদি পশুর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মাঠে মাঠে কর্মীরা কাজ করছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রীনগরে ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে বেশী গরু লালন পালন করা হচ্ছে রাঢ়িখাল, ভাগ্যকুল, বীরতারা, বাঘড়া, কুকুটিয়া ও ষোলঘর এলাকায়। খামারগুলোতে ষাড় গরুর মোটা তাজা করণের পাশাপাশি অনেকেই দুগ্ধ খামার গড়ে তুলেছেন।

রাঢ়িখাল এলাকার খামারি কেএম রাজু আহমেদ জানান, তার খামারে ৮টি দুধের গাভীসহ মোট ২৫টি গরু আছে। আগামী কুরবানির ঈদের হাটে বিক্রির জন্য সামনে ৫টি ষাড় মোটা তাজা করা হচ্ছে। কুকুটিয়া এলাকার মোস্তফা শেখ ও আমিনা বেগম জানান, গত কুরবানির হাটে ষাড় গরু বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এবছরও তারা গরু লালন পালন করছেন। তারা বলেন, খোলা বাজারে গু-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। বীরতারা এলাকার আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ব্যুরো বাংলাদেশ (এনজিও) থেকে ঋৃন নিয়ে ১৮টি গরু পালন করছেন। খামার থেকে দৈনিক প্রায় ৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। ওহিদুল ইসলাম জানান, বাড়িতে ষাড় ও গাভী মোট ১২টি গরু পালন করছেন। তিনি কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোণ নিয়েছেন। ষোলঘর এলাকার শেখ সিদ্দিক বলেন, তার খামারে গরুর মোট গরুর সংখ্যা ৬০টি। দুধ উৎপাদণের পরিমান ১৯০-২০০ লিটার। প্রতিকেজি দুধ ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে গত বছর বিকাশের মাধ্যমে সরকারের ২০ হাজার টাকা প্রণোদনা পেয়েছেন তিনি।

শ্রীনগর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৪০৩টি গরুর খামার রয়েছে। খামারিদের নামের তালিকা প্রস্তুত করে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে অনেকেই প্রণোদনা পেয়েছেন। নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারীত ফি গ্রহনের মাধমে গবাদি পশুর রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু কিছু পশু রোগের ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :